যেখানে সময় গিয়েছে থেমে

দহনে দহনে যে আঁধার আয়তনের রাতগুলো একাকি কেটে যাচ্ছে অসীম হাহাকারে, যে চিরস্থায়ী বিষন্নতাগুলো বুকের ভেতর প্লাবনের জোয়ার বয়ে দিচ্ছে, সেসব ধারায় আমাকে আগলে রাখোনি।

দিন রাত্রির সন্ধিক্ষণে মহাসড়কে ছুটে চলা মোটরযানের ক্ষীণ আলোতে অস্পষ্টভাবে দেখি রাস্তার ধারে গাছেরা আনমনে ভিজছে, সেই গাছেদের মতো ভিজতে চাই জনম জনম ধরে যেন মনোব্যথাগুলো, কান্নাগুলো,অতীত মূহুর্তগুলো নৈশব্দে বিসর্জন হয়ে যায় গাছেদের মতো।

একটা সময় আসে, যে সময়ে বর্তমান সময়গুলো অতীতে স্থানান্তরিত হয়ে যায়, রঙিন মুহূর্তগুলি বিবর্ণ হতে হতে একসময় ঝাপসা হয়ে যায়।
আরেক নতুন সময়ের সূচনা হয়, জীবন চক্রটা এভাবে চলতেই থাকে।

তবুও মলিন এই হৃদয় আবিষ্ট হয়ে থাকে পুরনো কিছু স্মৃতিতে, পুরনো এক হৃদকুঠরে, কোনো এক যুগের পুরনো কোনো এক মিথ্যা বিষন্ন চোখের স্মরণে।

~ জয়

হৃদয়ের শ্রাবণ

হৃদয়ের শ্রাবণঃ

এই যে সারাবেলা এতো উদাসী, আনমনা বিরহে শূন্যদৃষ্টি নিয়ে জানালার পাশে বসে থেকে অন্তঃকরণে যে ঝড় বয়ে গেছে নিরালায় নিভৃতে,
চোখের কোণের এই ভীষণ দুর্যোগ কারও চোখে পড়ে না, বিরহ অশ্রুতে হৃদয় কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে চলে যায় বিপদসীমারও উর্ধ্বে।

যেদিন ব্যথার ব্যকরণ বুঝতে গিয়ে হৃদয় রেখেছিলাম অন্য কুহরে, সেদিনই এক জলপ্রপাতে নেমে গিয়েছিল অজানা পথে, সেই থেকে কতবার নিজের পথ পাল্টিয়েছি, কিন্তু গতিপথ পাল্টায়নি সেই জলপ্রপাতের,
যা আমার হৃদয়দহনে অবিশ্রান্তভাবে ঝরে পড়ে দিনের পর দিন রাতের পর, এক শ্রাবণ থেকে অন্য শ্রাবণ পর্যন্ত।

হৃদয় দহনে আলোকিত

হৃদয় দহনে আলোকিতঃ ১

রক্তে রক্তে বহুযুগ ধরে হিমায়িত যে বিষণ্ণতা, যা মর্মভেদী প্রেম বিরহের প্রস্রবণে পর্যবসিত করছে প্রতিনিয়ত !
এলোমেলো ভাবনায় আমার বুকের ভিতর-বাহির যে অবিশ্রান্ত শ্রাবণ,
সব ভিজিয়ে দেয় উষ্ণ অশ্রুর মত, সে ধারায় আমাকে আগলে রাখোনি।
যতবার কাছে যায় দেখি প্রাক্তন মুহুর্তগুলি অনেকটা ভোরের কুয়াশার মত লেগে আছে নিশ্চল বুকের ভেতর…

শরতের শোকে শিউলিরাও ঝরে পড়ে যায়, এবার পালিয়ে যেতে হবে, এই তো সময়! বুকে জমে এসেছে অনেক অভ্যাসের মেঘমালা,
নিঃশব্দে চলে যেতে হবে শিউলি ফুলের মতোন, শুধু রেখে যেতে হবে স্মৃতিচিরকুট।

দহনে দহন

একটা সময় আসে যখন একাকীত্ব, অপেক্ষা, চিন্তাভাবনা, আবেগ ও অনুভূতি সবকিছু মিলিয়ে নিজেকে শূন্য মনে হয়..
বিষন্নতা ঠিক নয়, তবে কোন কিছুর প্রতি আর উত্তেজনা কাজ করে না,তখন আর কে কি বললো এটা নিয়ে মাথা ঘামাতেও ইচ্ছে করেনা,কাছের মানুষগুলো দূরে চলে গেলে তাদের আর ফিরিয়ে আনতেও ইচ্ছা করেনা,নিজের মধ্যে গুমরে মরতে হয়…..
সব কিছুর মধ্যে দিয়ে এই শূন্যতা মেনে বুকে কষ্ট মুখে হাসি নিয়ে এগিয়ে চলতে হয়… উপায় থাকেনা।

আবেগ সাময়িক, ক্ষণিকের,
অনুভব চিরকালীন, শাশ্বত, তাই আমি তোমাকে অনুভবে ধারণ করেছিলাম, এখনও তাই।,,

তুমিও থেকেও কোথায় জানি হারিয়ে গিয়েছো, এভাবে বার বার খুঁজতে নিজের কাছে নিজের অপমান লাগে, তাই এখন আর খুঁজি না,বার প্রত্যাখ্যাত হতে হতে নিজের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য হারিয়ে ফেলেছি সে কবেই, ভেবেছি অনেকদিন যোগাযোগ না থাকলে সব ঠিকটাক হয়ে যাবে, কিন্তু পারি না, শুধু পেছনে ফিরে যেতে ইচ্ছে করে, তাই নিজেকে দমিয়ে রাখতে না পেরে আরও একবার লিখছি তোমাকে, হয়তো তুমি এসব পড়ছো নয়তো না,

আমরা এখন কেউ আর পাশাপশি নেই,
পাশাপাশি থেকে ছাড়াছাড়ি হয়ে আছি
একই পৃথিবীতে।


এখন আর জানতে তে ইচ্ছে করে না কখন কীভাবে, কি ভেবে, কি শুনে, কি ধরে নিয়ে পথ বদলে নিয়েছো, তাতে এখন কি করবো?
আমিও বদলাতে চাই নিজের পথ, আমার জীবনে তোমার কোনো ভূমিকা বর্তমানে অন্তত নেই, অতীতে থাকলেও সবটাই সমসাময়িক ছিল,(হয়তো)

তুমি নিজের জীবন গুছিয়ে নিয়েছো আর আমিও নিতে শিখে যাবো হয়তো,
তুমি তোমার মতন খুশি, আর আমিও নিজেকে নিজেই খুশি রাখতে চাই, কারও জীবনে উঁকি মেরে খোঁচাখুঁচি করে মাথা নষ্ট করার মতন সময়
আমার না হোক।
আমি শুধু সামনের দিকটা দেখতে চাই, কারণ দেখতে চাই খুব,
ভুলে যেতে চাই যাতনার যা-তা কলে পিষ্ট হওয়া অতীত স্মৃতি, তারপরও আমি ভীষণ আক্ষেপ নিয়ে একদিন মরে যাবো।

আমাদের যাতায়াতের বাকি পথটুকুতে না বলা কথাদের ভীড়
পারাপারের আঙ্গিনায় বিছিয়ে রেখো বিরহ ভালোবাসার নীড়

ব্যাস এন্ড অফ ডিআসকাশন!

ভালো থেকো, ভালো রেখো।

জীবন

মানুষের বয়স বাড়ে, আয়ু কমে
হাসির দৈর্ঘ্য ক্রমাগত ছোট হয়ে আসে,
মানুষ মরে স্মৃতি হয়ে যায়,
এই বুঝি জীবন..!!

সত্যিই কি তাই?

সময় পেরিয়ে যায় সন্তরনে
এবং জীবন জীবনের প্রতিক্ষন,
কোন কিছুই ধরে রাখার নয়,
ঝরে যায়,

সত্যি কি তাই??
কিছু বলার তো থাকে
এবং অনুভূতি………?

হৃদয় কুঞ্জবনে

স্মৃতির অতল জল উঠোনে ভেসে যায় রঙিন বেরঙিন কাগজের নৌকো, পাল তোলে নির্ঘুম রাতের বিরহী কান্না , বৈঠা বায় শত দুঃখবিলাস ! কখনো-বা ওৎ পেতে বসে থাকে পিছলে ফেলা স্মৃতির ইতিহাস…..
ভার হয়ে আসে হৃদয় নস্টালজিয়ার সিড়ি বেয়ে উঠানামা করে বোবা স্মৃতিসমূহ,মৌন বিরহেরা স্মৃতিকপাট খুলে নাড়া দেয় সবসময়।
অদম্য কৌতুহলে চিন্তাজগতে বেহিসাবি উপবাসী নিঃশ্বাস !
সেই যে ফুলে ফুলে দুলে উঠছিল ঐ জীবন! সময়ের রঙিন জানালায়,
তা ছিল ঠুনকো বড্ড সাময়িক, এসব আজ প্রায় ডুবন্ত নৌকোর মতো,
সাঁতরে ফেরে এই অবেলায়.হয়ে অসহায়…..

« Older posts